August 2, 2025, 3:42 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের সিদ্ধান্ত ও শিল্প খাতের স্থবিরতার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সদ্য প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক’ (এডিও)–এর জুলাই ২০২৫ সংস্করণে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য পূর্বাভাসিত প্রবৃদ্ধি আগের তুলনায় নিচে নেমে আসতে পারে, যদিও নির্দিষ্ট হার প্রকাশ করা হয়নি।
এডিবির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, রপ্তানি ও উৎপাদন খাতে ধীরগতির কারণে অর্থনৈতিক গতি হারাতে বসেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন শুল্কনীতিও এ ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। আগামী ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপ কার্যকর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যার ফলে বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত রপ্তানিতে বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দর-কষাকষি চললেও অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে এডিবি জানায়, সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। বৈশ্বিক পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতা, কঠোর আর্থিক ও রাজস্বনীতির কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে, এবং এ কারণে ২০২৬ অর্থবছরের পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
এডিবি আরও জানিয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্যের ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। নতুন পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে এ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ৪.২ শতাংশে এবং ২০২৬ সালে ৪.৩ শতাংশে দাঁড়াতে পারে—যা আগের পূর্বাভাসের তুলনায় প্রায় অর্ধ শতাংশ কম।
পুরো এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়েই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এডিবি। প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক হার আরও বাড়ায় এবং বাণিজ্য উত্তেজনা তীব্র হয়, তাহলে শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নয়, পুরো অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি হুমকির মুখে পড়বে। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ, সরবরাহ চেইনের বাধা এবং জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি—যা একযোগে এ অঞ্চলের অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে তুলতে পারে।
Leave a Reply